গজনবী বিপ্লব:
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় পিকআপে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নাশকতার অভিযোগে বিএনপির ১৮৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য ও কেন্দুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলালকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
সোমবার কেন্দুয়া থানার ওসি এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এরআগে রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে থানায় এ মামলা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত দশটার দিকে কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং এলাকায় বাট্টা কাচারির সামনের সড়কে একটি পিকআপে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে পিকআপটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। পরো স্থানীয়রা আগুন নেভায়। এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস বণিক বাদী হয়ে বিএনপির ১৮৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য ও কেন্দুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলালের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
তবে পুড়ে যাওয়া পিকআপের মালিক কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া গ্রামের মনসুর মিয়া বলেন, পিকআপ পুড়েছে তো আর ফেরত পাব না। তাই এ ঘটনায় আমি মামলা করতে চাইনি। পরে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। তবে মামলায় কতজন আসামি সেটা তিনি জানেন না।
মামলার বাদী কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস বণিক বলেন, পিকআপের মালিক মামলা করেননি। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এ ঘটনায় এখনো কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
জেলা বিএনপির সদস্য ও কেন্দুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ভুঁইয়া দুলাল বলেন, এসব ভুয়া মামলা, গায়েবি মামলা। আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও অবৈধ তফসিল বাতিলের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। তাই আমাদেরকে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সরকার। আন্দোলন প্রতিহত কর গায়েবি মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এসব করে আন্দোলন দমানো যাবে না।
উল্লেখ্য- হরতাল অবরোধ শুরু হওয়ার পর তিন সপ্তাহে পর্যন্ত শুধুমাত্র কেন্দুয়ায় এ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে। তিন মামলায় বিএনপির ৬৬১ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
Leave a Reply