মেহেদী হাসান : গাজীপুর জেলার প্রাণ কেন্দ্র বাসন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠনের পরে বড় আয়তন নিয়ে গঠিত বাসন ভূমি অফিস। অন্যান্য ভূমি অফিসের তুলনায় এই অফিসের আওতাধীন জনগণের সংখ্যা অধিক। যাতে করে ভূমি সেবা দিতে ভূমি অফিসকে হিমশিম খেতে হয়। তবে দীর্ঘ সময়ের পরে ভূমি অফিসের সেবার মান বদলেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার কারণে ভোগান্তির অবসান ঘটেছে ভূমি সেবা আগ্রহী দের। অনলাইন সেবার কারণে দালালদের খপ্পরে পড়তে হয় না। ভূমি ব্যবস্থাপনা কে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে কাজ করছেন গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও ভূমি কর্মকর্তারা। উপ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানায়, ভূমি সেবা নিতে আসা গ্রহীতাদের আগের মতো বিলম্বনায় পড়তে হয় না। অনলাইন সেবার কারণে আবেদন থেকে শুরু করে অনলাইনে নামজারি জমা ভাগ ওডিসিআর এর টাকা জমা প্রদান করা যায়। ঘরে বসেই ভূমি সেবা এখন হাতের মুঠোয়। অনলাইনে আবেদন করার পরে সেবা গ্রহীতা নিজেই জানতে পারবে তার নথি কোন দপ্তরে রয়েছে। অফিসের সামনে এখন আর আগের মত দীর্ঘ লাইন নেই। নেই দালালদের ঘোরাঘুরি। নামজারি, জমা ভাগ, সীমানা নির্ধারণের প্রতিবেদন, ভূমি বন্দোবস্ত প্রতিবেদন , দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রেরণ করা হচ্ছে। কোন কর্মকর্তা নথির জটলা থেকে বিরত আছে। তিনি আরো বলেন, অনলাইন ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন ও সহকারী কমিশনার ভূমি (গাজীপুর সদর)এর দিকনির্দেশনায় বাসন ভূমি অফিসকে নতুন রূপে সাজানোই আমাদের লক্ষ্য। কয়েকজন গ্রহীতা বলেন, আগের মত লাইন না ধরেই সেবা পেয়েছি। ঘরে বসেই নামজারি জমা ভাগ ওডিসিআর এর টাকা জমা প্রদান করি। নেই জমি পরিমাপের কোন জটিলতা। অনলাইনে আবেদন করার সাথে সাথে আবেদনটি কোন অবস্থায় আছে এবং কোন দপ্তরে আছে তার স্মারক নম্বর সহ মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়। বাসন ভূমি অফিসের সেভাবে আমরা এখন আগের চেয়ে সন্তুষ্ট। রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মারুফ দস্তগীর বলেন, সকল উপজেলা ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস কে ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন ও জেলা প্রশাসনের দিকনির্দেশনা মোতাবেক সঠিক সেবা বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে। ভোগান্তি ছাড়া সেবা পাচ্ছে জনগণ ও সামনেও পাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply