ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার কাঁশোপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১০ শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টার যে অভিযোগ, সেটি অস্বীকার করেছে সহকারী শিক্ষক মোঃ রেজাউল হক এবং তার প্রতিবাদও জানিয়েছেন। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উক্ত বিদ্যালয়ের হেড মাষ্টার জানান, গত ২৫ শে মার্চ আমি নিজে দেখি নাই, স্থানীয় লোক জন এসে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ করে,তাদের ঐ মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সেই শিক্ষককে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। মেয়ে অথবা মেয়েটির বাবা কোন অভিযোগ করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না তা করে নাই। ১০ শ্রেনীর ছাত্রীর বাড়ীতে গিয়ে তার বাবা জানান, স্কুল ছুটি থাকায় তার মেয়ে নানীর বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছে। আরো জানান, গত ২৫ তারিখের ঘটনা উল্লেখ্য করলেও বিষয়টি তিনি গত ২৮ তারিখে ফেসবুকের মাধ্যমে জানিতে পারেন। এবং তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা হলে অবশ্যই আমার মেয়ে আমাকে অথবা তার মাকে জানাতো।এ ধরনের খবর প্রকাশ হওয়ায় তিনি মর্মাহত। উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি আলম সাহেবের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি আমরা লোক মুখে শুনেছি। তারপর আমরা এবং শিক্ষকেরা সকলে মিলে সিদ্ধান্তক্রমে উক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখ্যাস্ত করা হয়েছে এবং ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পরিপেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অপরাধ স্বীকার করা বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, না ওটা সঠিক নয়, কিন্তু অনলাইন পত্রিকাতে আমার কোন প্রকার বক্তব্যই নেয় নাই অথচ খবরে বানোয়াট ভাবে আমার বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। সহকারী শিক্ষক মোঃ রেজাউল হক প্রকাশিত খবরের তিব্র প্রতিবাদ করে জানান, ১০ শ্রেনীর ঐ মেয়েটি আমার নিজের মেয়ের মত, এবং তার বাবাও আমার ছোট, আমি সব সময় ঐ ছাত্রীদের মামুনি বলেই ডাকি এবং সেও আমাকে স্যার ও আংকেল বলেই ডাকে, কিন্তু তাকে নিয়ে এত বড় একটা মিথ্যা খবর প্রকাশ করায় আমি সত্যিই খুব মর্মাহত। তিনি আরো জানান,সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা এবং জাতীর বিবেক কি করে আমার কোন বক্তব্য না নিয়েই আমার দোষ স্বীকার করার কথাও লিখলো আমার বোধগম্যেই আসে না। তিনি বলেন, কিছু কুচক্রি মহল আমার চাকরী নেওয়ার সময় থেকে আমার কাছে কিছু দাবী করে আসছিলো আমার কোন বিল-বেতন না হওয়ায় তাদের কিছু দিতে পারিনি,অাজ ৮/১০ বছর ধরে সম্মানের সহিত শিক্ষ কতা করে আসছি। বর্তমানে এমপিও হয়েছে তাই এখনি দাবী করে আসছে, আমি তাদের বলেছি,,এখনো কোন বেতন হয় নাই এ নিয়ে মন ধরা-ধরি বা কথা কাটাকাটি হয়েছে কিন্তু তাই বলে এতো বড় সম্মানের আঘাত দেবে ভাবতেও পারিনি।
Leave a Reply