শ্রীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর জেলার শ্রীপুর মডেল থানার এসআই নাহিদ শ্রীপুর পৌর এলাকার বেড়াইদের চালা গ্রামের মৃত আহমদ আলীর সন্তান নূর ইসলাম (৩৯) কে তারই বায়না রেজিস্ট্রিকৃত জমিতে গেলে হাড় (হাড্ডি-গুড্ডি) ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়ে লাঞ্চিত করার সময় তার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও থাপ্পড় মারেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসী পুলিশদের থাপ্পড় মারার ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় শ্রীপুর থানা পুলিশের এসআই নাহিদের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নূর ইসলাম জানিয়েছেন, আমি একই এলাকার মৃত কুদ্দুস আলীর সন্তান নস মিয়ার থেকে ৭ শতাংশ জমি ২৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকায় ক্রয় করি। চলতি মাসের ৮ তারিখ থেকে শুরু করে ১৭ তারিখ পর্যন্ত মোট ১০ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা পরিশোধ করে শ্রীপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে বায়না রেজিস্ট্রি করি। গতকাল এসআই নাহিদসহ ৫-৬ জন আমার বাড়িতে এসে আমার কাছে প্রশ্ন করে আমি কেন ওই জমি কিনলাম। আমি স্বাভাবিকভাবে উত্তর দিলে সাথেসাথে আমাকে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করে এবং টানাহেঁচড়া করে লাঞ্চিত করে। এসময় আমার স্ত্রী বাঁধা দিতে আসলে তাকেও থাপ্পড় মারে এবং খুবই বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি। বিষয়টি ওসিকে জানানো হয়েছে কি-না ? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, গালাগালি করেছে সেটা জানিয়েছি! চর-থাপ্পড় বিষয়টি জানাই-নি। ওসি বলেছেন এই দারোগা তো নতুন, তাই ভুল করে ফেলছে, আমি অন্য দারোগা পাঠাচ্ছি। পরে এসআই আশরাফুল এসে ইনকোয়ারি করে গেছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী ক্রয়কৃত সম্পত্তি নূর ইসলাম পাইলে পাবে না পাইলে পাবেনা। কিন্তু এ ঘটনায় জমিতে মামলা না সত্বেও বিনা নোটিশে পুলিশের এমন আচরণে বোঝা যায় নিঃসন্দেহে আইন শৃঙ্খলা অবনতির প্রধান কারণই পুলিশ। পুলিশ হয়তো অবৈধ সুবিধা নিয়ে এমন আচরণ করেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এসআই নাহিদ জানিয়েছেন, ‘আসলে ওইরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি, বাদীদের একটা অভিযোগ ছিল, ওদের সাথে নিয়ে যাওয়ায় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়, পরে আমি উভয়পক্ষকেই কাগজপত্র নিয়ে থানায় দেখা করতে বলি। কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি’। শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানিয়েছেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা কোনও অভিযোগ পাইনি’।
Leave a Reply