আরিফ চৌধুরী:
রাজধানীর তুরাগ ও আশুলিয়া দিয়ে বয়ে যাওয়া তুরাগ তীরের দু’পাশে অবৈধভাবে দোকানপাট, বালুর গদি, সিএনজি পাম্প ও তিনটি শিল্পকারখানার অংশ বিশেষ গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্ব^র) সকাল থেকে এ উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে। ভ্রাম্যমান আদালেেত নেতৃত্ব দেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুর রহমান হাকিম। তুরাগ নদীর দু’পাশে দখল করে গড়ে ওঠা টিনশেড ঘর, বহুতল ভবনসহ ১৩১টি
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসময় উচ্ছেদকৃত বালুর গদি নিলাম দিয়ে ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এছাড়াও, চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৩ লাখ টাকা নগদ আদায় করা হয়। ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ৬জনকে আটক করা হয়।
তবে, বরাবরের মতোই যাদের যাদের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে তারা বলছেন কোন নোটিশ পাননি তারা।
এদিকে, বিআইডাব্লিউটিএ বলছে, নদী দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদে কোন নোটিশের প্রয়োজন নেই। নদী ও খাল উদ্ধারে বিআইডাব্লিউটিএর এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। উচ্ছেদ অভিযান
চলে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। প্রথমে সাভারের আশুলিয়ার বেশ কয়েকটি কাচা-পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পরে, তুরাগের বালুর গদি উচ্ছেদ করে বালুর গদিসহ নিলাম দিয়ে ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা আদায়
করা হয়। অভিযানের শেষ সময়ের দিকে টঙ্গীর তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়। এসময় অবমুক্তকৃত তুরাগের ৩ একর ভুমি উদ্ধার করে বিআইডব্লিউটিএ।
এবিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ.কে.এম আরিফ উদ্দিন বলেন, কোনো আইন-কানুন, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই তুরাগ নদীর তীরে গড়ে ওঠেছে শত শত বসতবাড়ি, ব্যবসা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান। পঞ্চম দিনের গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত শেষ কর্মদিবস ছিল। আশুলিয়াসহ টঙ্গী ও তুরাগের বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা
হয়েছে।
এছাড়াও, যদি পরবর্তীতে অবৈধভাবে তুরাগের দু’পাশে দখলে অভিযোগ আসে, তাহলে পুনরায় আবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বিআইডব্লিউটিএ’র কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।
Leave a Reply