ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলা পুরাতন হাসপাতাল বর্তমান কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় গত ০৭/০২/২০২০ ইং রোজ শুক্রবার দিবাগত রাত অনুমানিক ১টা হইতে ৩ঃ০০পর্যুন্ত ডাকাতি,লুটপাট,ভাংচুর ও অগ্নীসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।ভুক্তভোগীরা জানায়,একই এলাকার মৃতঃ মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে রেজাউল ইসলামের নির্দেশে মকছেদ আলী,আনোয়ার হোসেন,শামসুজ্জহা ওরফে ফেন্সীডিল জোহা,বিদ্রোহ রহমান,মাসুদ রানা ওরফে গাঁজা মাসুদের নেতৃত্ব ভোদন ওরফে ফেন্সী ভোদন, মকবুল হোসেন,সেকেন্দার আলী,রফিকুল,হাতেম আলী,বেলাল হোসেন,সোলাইমান আলী,মোয়াজ্জেম হোসেন, ফিরোজ হোসেন,রেজাউল ইসলাম,শহিদুল ইসলাম,আহসান কিবরিয়া ও ছহির মন্ডল সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েজ মিলে দেশী ও বিদেশী অস্ত্র,সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শুক্রবার দিবাগত গভির রাত অনুমান ১টার সময় মৃত ইসলাম মিয়ার পুত্র পলাশ,লতিফর রহমানের পুত্র মানিক, মৃত- আহম্মদ আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর আলম, মৃত-হবিবর রহমানের পু্ত্র বুলবুল চৌধুরী,মোঃ আমান উল্লাহ মন্ডলের ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মৃত- ইসমাইল হোসেনের পুত্র শহিদুল ইসলামদের বসত বাড়ীতে একযোগে হামলা চালিয়ে শয়ন ঘরের দরজা ভেঙ্গে সবার ঘরে ঢুকে এলোপাতারী ভাবে সবাইকে মারধর করতে লাগলে, প্রান ভয়ে অনেকে বাড়ী হতে বাহির হয়ে যায়। এবং বুলবুল,পলাশ,জাহাঙ্গীরকে ডাকাতেরা ধরে রসাদিয়ে বাঁধিয়া ফেলে ও রামদা,বড় বড় হাঁসুয়া ও মাথায় পিস্তল টেকিয়ে বলে, একটু বাড়াবাড়ী করলে দুনিয়া থেকে তুলে দেবো। অন্যদিকে মানিক,দেলোয়ার বাড়ী থেকে দৌড়ে বাহির হয়ে মহাদেবপুর থানায় ফোন দিলে, ফোন রিসিফ না করিলে তারা প্রান ভয়ে আত্নীয়র বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। এ অবস্থায় ডাকাতেরা ঘর-বাড়ীতে থাকা মুল্যবান,এলইডি টেলিভিশন,কমপিউটার,ল্যাপটপ,বাড়ীতে ব্যবহৃত সকল ফার্নিচার, কৃষি চাষে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলার,গরু,ছাগল, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র,ব্যাংক চেক বহি, নগদ টাকা ১ লক্ষ, সোনার চেইন,চার্জার ভ্যান,টমটম বোরাখ,বাইসাইকেল, ঘরে থাকা নতুন টিন,ধান অনুমানিক ৫০ মন, চাউল ১০ বস্তা মুরগীর খাদ্য ফিড ৫০ বস্তা,মাছের ভাসমান খাদ্য ৪০ বস্তা, এবং ফার্মে থাকা মুরগী দুই হাজার পিচ,কাঁসার থালাবাসন সহ, সকল কিছুর অনুমানিক মুল্য ২৫/৩০ লক্ষ টাকার মালামাল ডাকাতেরা লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতেরা যাওয়ার সময় সকলের ঘরবাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং আগুনে সকল বাড়ী ঘর পুড়ে ছাড়াখার হয়ে যায়। আশে-পাশের গাছপালা কেটে দেয়। এ বিষয়ে ভুক্তভুগীরা মহাদেবপুর থানায় পরের দিন মামলা করতে গেলে, থানা মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। ভুক্তভুগীরা আরো জানায়, ডাকাতেরা স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা করিলে প্রানে মেরেফেলার হুমকি অব্যহত রেখেছে। আশে পাশের শত শত লোক বিষয়টি জেনেও এলাকাবাসী চিহিৃত ডাকাতদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এ রির্পোট লিখার সময় মামলার প্রস্তুতি চলছিলো।
Leave a Reply